#নতুন প্রজন্ম উদ্যোক্তা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে সকলকে জানাই পবিত্র মাহে রামযানের শুভেচ্ছা।
#রমজান বা রমযান (আরবি: رمضان রামাদান, [ভিন্ন রূপ]) হল ইসলামী বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে নবম মাস, যে মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিমগণ রোজা পালন করে থাকে। রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ৩০ দিনে হয়ে থাকে যা নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
এ মাসে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যক্তির উপর সাওম পালন ফরয, কিন্তু অসুস্থ, গর্ভবতী, ডায়বেটিক রোগী, ঋতুবর্তী নারীদের ক্ষেত্রে তা শিথিল করা হয়েছে। রোজা বা সাওম হল সুবহে সাদিক থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা গুনাহের কাজ এবং (স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে) যৌনসংগম থেকে বিরত থাকা। এ মাসে মুসলিমগণ অধিক ইবাদত করে থাকেন। কারণ অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ মাসের লাইলাতুল কদর নামক রাতে কুরআন নাযিল হয়েছিল, যে রাতকে আল্লাহ তাআলা কুরআনে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলেছেন। এ রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের ইবাদতের থেকেও অধিক সওয়াব পাওয়া যায়। রমজান মাসের শেষদিকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানগণ ঈদুল-ফিতর পালন করে থাকে যেটি মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি।
"রমজান" শব্দটি আরবী ধাতু রামিয়া বা আর-রামম থেকে উদ্ভূত যার অর্থ "তাপমাত্রা," বা "শুষ্কতা"। [৬] অ-আরবীয় মুসলিম দেশ যেমন ইরান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং তুরস্ক এটিকে "রামাজান" বা "রমজান" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কারণ আরবী বর্ণ "ض" তাদের বর্ণের জন্য "জ" উচ্চারণ তৈরি করে।
ইতিহাস
“রমজান মাস হচ্ছে সেই মাস যে মাসে কুরআন নাজিল হয়েছিল; মানবজাতির জন্য কোরান একটি হেদায়েত এবং হেদায়েতের সুস্পষ্ট প্রমাণ এবং মানদণ্ড [সঠিক ও ভুলের]। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ বেঁচে থাকে তবে এই মাসে রোজা রাখ এবং আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য চান; তিনি তোমাদের জন্য কষ্ট না চান; আর এটাই যে, তোমার সময়কাল পূর্ণ হবে এবং তোমার হেদায়েতের জন্য আল্লাহকে মহিমান্বিত করতে হবে এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।[কুরআন ২:১৮৫]
”
নতুন চাঁদকে ইসলামে 'হেলাল ' বলে। এই চাঁদ সাধারণত নতুন চাঁদ হিসাবে মুসলিমরা রমজানের শুরুতে অনুমান করতে পারে এবং চাঁদ দেখার রাত থেকে রমজানের দিন গণনা করা হয়। যাহোক, অনেকে সরাসরি চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রমজানের চাঁদ উদ্বোধন নিশ্চিত করতে পছন্দ করেন।